Header Ads

এজাহার/এফ অই আর কাকে বলে ?

প্রশ্নঃ ১) এজাহার কাকে বলে ? এজাহারের মূল বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি? এজাহার লিপিব্ধকরনের সময় কি কি বিষয়ের প্রতি যতœবান হতে হয় । এজাহার একবার লিপিব্ধ করার পর তা বাতিল করা যায় কি?
উত্তরঃ এজহার ঃ এজাহার  শব্দের অভিধানিক অর্থ হল প্রাথমিক তথ্য বিবরণী। ইংরেজীতে একে --- বা ---- বলে। কোন আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ থানায় মৌখিক বা লিখিত ভাবে পৌছিলে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা তার বিবরণটি নির্ধারিত (বিপি ফরম নং-২৭, বাংলাদেশ ফরম নং- ৫৩৫৬) রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করেন তাকে এজাহার বা এফ, আই, আর বলে । এজাহার একটি স্বতন্ত্র সাহ্ম না হইলেও কোন মামলার বিশ^াসযোগ্য মূল ভিত্তি । ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবি ২৪৩(গ) বিধি।
এজাহার/এফ অই আর কাকে বলে
এজাহার/এফ অই আর কাকে বলে ?
এজাহারের মূল বেশিষ্টঃ সাহ্ম আইনের ৩৫ ধারা মোতাবেক এজাহার বা – আদালতে প্রাসঙ্গিক। নি¤েœ এজাহারের মূল বৈশিষ্টগুলো আলোচনা করা হইল ।
১.    এজাহার  অবশ্যই সরকারি নির্ধারিত ফরমে লিপিবদ্ধ করতে হবে। বিপি ফরম নং ২৭ বাংলাদেশ  ফরম নং-৫৩৫৬।
২.    আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ থাকতে হবে।
৩.    এজাহারের সংবাদটি অবশ্যই লিখিত হতে হবে।
৪.    এজাহার বাদী বা সংবাদদাতার স্বাহ্মর বা টিপসহি থাকতে হবে।
৫.    বাদী সহ সংবাদদাতার পূর্ণ নাম ও ঠিকানা এবং বয়স অবশ্যই থাকতে হবে।
৬.    ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকতে হবে।
৭.    ধারা সহ অভিযোক এবং লুন্ঠিত মালের সংহ্মিপ্ত বিবরন সহ মুল্য থাকতে হবে।
৮.    এজাহারে আসামীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা এবং বয়স অবশ্যই থাকতে হবে।
৯.    এজাহারে মাসিক ও বাষিক ক্রমিক নং উল্লেখ থাকতে হবে।
১০.    মামলার রুজুর তারিখ ও সময় অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে।
১১.    এজাহার রেকর্ডকারী বা ভারপাপ্ত কর্মকর্তার স্বাহ্মর থাকতে হবে।

মামলা রুজুকারী অফিসার কে নি¤œলিখিত বিষয়ের উপর যতœবান হতে হয়ঃ
১.    থানা ও জেলার নাম উল্লেখ করতে হবে।
২.    মামলার মাসিক ও বার্ষিক ক্রমিক নং সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে ।
৩.    এজাহার গ্রহনের তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে।
৪.    এজাহার থানা হইতে কোর্টে প্রেরনের তারিখ উল্লেখ করা।
৫.    ঘটনাস্থলের নাম অবস্থান থানা হইতে দুরত্ব ও দিক মৌজা নং উল্লেখ করা ।
৬.    সংবাদদাতার বা অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা।
৭.    আসামির নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা।
৮.    ধারা সহ অভিযোগ এবং লুন্ঠিত মালের সংহ্মিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করা।
৯.    তদন্তের জন্য গৃহিত ব্যবস্থা এবং এজাহার বিলম্বে রেকর্ডের কারন উল্লেখ করা ।
১০.    মামলার রেকডিং অফিসারের স্বাহ্মর তারিখ ও পদমর্যাদা।
১১.    লিখিত ও মৌখিক উভয় এজাহারের হ্মেত্রে সংবাদদাতার স্বাহ্মর বা টিপসহি এবং এজাহার গ্রহনকারীর স্বাহ্মর দেয়া।

এজাহার একবার লিপিবদ্ধ করার পর তা আর বাতিল করা যায় না । পিআরবি ২৪৩ (জ) বিধি।

কোন মন্তব্য নেই