শিশু আইন-২০১৩
শিশু আইন-২০১৩
শিরোনাম ও পরিধিঃ এই আইন শিশু আইন ২০১৩ নামে অভিহিত হবে। যা ২০১৩ সালের ২৪নং আইন হিসেবে প রিগনি ত। উক্ত আইন ২১ আগষ্ট ২০১৩খ্রিঃ তারিখে প্রকাশিত হয়।
শিশু আইন ধারা-২ঃ সংজ্ঞা সমূহঃ
আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুঃ আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু বলতে এমন শিশু যে, দন্ডবিধির
ধারা-৮২ ও ৮৩ এ র বিধান সাপেক্ষে, বিদ্যমান কোন আইনের অধীন কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত অথবা বিচারে দোষী সাব্যস্ত।
শিশু আইন-২(৩) ধারা
আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুঃ আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু বলতে এমন শিশু, যে বিদ্যমান কোন আইনের অধীনে কোন অপরাধের শিকার বা সাক্ষী।
শিশু আইন-২(৪) ধারা
বর্ধিত পরিবারঃ বর্ধিত পরিবার বলতে দাদা, দাদী, নানা, নানী, চাচা, চাচী, ফুফা, ফুফু, মামা, মামী,
খালা, খালু, ভাই, ভাবি, ভাগ্নি এইরূপ রক্তসম্পকীয় অথবা আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ আত্মীয়ের পরিবার বুঝায়।
শিশু আইন-২(১১) ধারা
শিশুঃ শিশু বলতে অত্র আইনের ৪ধারায় নির্ধারিত কোন ব্যক্তিকে বুঝাবে।
শিশু আইন-২(১৭) ধারা
সুবিধা বঞ্চিত শিশুঃ সুবিধাবঞ্চিত শিশু বলতে অত্র আইনের ৮৯ ধারায় উল্লিখিত কোন শিশুকে বুঝাবে।
শিশু আইন-২(২৩) ধারা
ধারা-৩ঃ
আইনের প্রাধান্যঃ অতঃপর বলবৎ অন্য আইনে ভিন্নতর যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রদান্য পাবে।
ধারা-৪ঃ
শিশুঃ বিদ্যমান অন্য কোন আইনে যাই কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণ অনুর্ধ্ব
১৮(আঠার) বৎসর বয়স্ক সকল ব্যক্তি শিশু হিসেবে গন্য হবে।
প্রবেশন কর্মকর্তা- সরকার প্রত্যেক জেলা, উপজেলা/মেট্রেপলিটন এলাকায় এক বা একাধিক প্রবেশন কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন। বিভিন্ন জেলা/উপজেলায় কর্মরত সমাজসেবা কর্মকর্তা বা সমমানের অন্য কোন কর্মকর্তাক প্রবেশন কর্মকতার দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা-৬ঃ
প্রবেশন কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কর্তব্য- প্রবেশন কর্মকর্তা আইনের সংস্পর্শে আশা শিশু বা আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুকে থানায় আনয়ন করা হলে যে সকল দায়িত্ব পালন করবেন-
আনয়ন ও আগমনের কারণ অবগত করা;
সংশ্লিষ্ট শিশুর সাথে সাক্ষাৎ করা এবং সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানে আশ^স্ত করা;
সংশ্লিষ্ট অভিযোগ বা মামলা চিহ্নিত করে পুলিশের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করা;
সংশ্লিষ্ট শিশুর পিতা মাতার সন্ধান করা ও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পুলিশকে সহায়তা;
শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে শিশুর জামিনের সম্ভাব্যতা যাচাই বা প্রয়োজনে বিকল্প পন্থা
গ্রহন করাসহ অন্যান্য কার্যাদি।
ধারা-৭ঃ
জাতীয় শিশু কল্যাণবোর্ড ও উহার কার্যাবলী- সরকার জাতীয় শিশু কল্যাণ বোর্ড গঠিত হবে। সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ে র দাি য় ত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী উক্ত শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি বিবেচিত হবে।
ধারা-৮ঃ
জেলা শিশু কল্যাণবোর্ড ও উহার কার্যাবলী- সরকার জেলায় শিশু কল্যাণ বোর্ড গঠন করবেন।
জেলা পশ াসক উক্ত শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি বিবেচিত হবে।
ধারা-৯ঃ
উপজেলা শিশু কল্যাণবোর্ড ও উহার কার্যাবলী- সরকার উপজেলায় শিশু কল্যাণ বোর্ড গঠন করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি বিবেচিত হবে।
ধারা-১০ঃ
বোর্ডের মনোনীত কর্মকর্তার মেয়াদ- জাতীয় শিশু কল্যাণ বোর্ড, জেলা কল্যাণ বোর্ড, উপজেলা কল্যান
বোর্ড এর মনোনীয় সদস্যগণ তাদের মনোনয়নের তারিখ হতে ২(দুই) বৎসর পর্যন্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
ধারা-১১ঃ
বোর্ডের সভা- বোর্ড এর সভা সভাপতি নির্ধারণ করবেন। প্রতি ০৬(ছয়) মাসে জাতীয় কল্যাণ বোর্ড, প্রতি
০৪(চার) মাসে জেলা কল্যাণ বোর্ড এবং প্রতি ০৩(তিন) মাসে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোডর্ কমপক্ষে একটি সভা
অনুষ্ঠিত করবেন।
জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এবং উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এর উপদেষ্টাঃ জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীয় জেলার সংসদ সদস্য জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এর উপদেষ্টা (ক্ষেত্রমতে মহিলা সংসদ সদস্য) এবং
উপজেলা পরিষদের মহিল ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এর উপদেষ্টা হবেন।
ধারা-১৩ঃ
শিশু বিষয়ক ডেস্ক- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যেক থানায় সাব-ইন্সপেক্টর এর নি¤েœ নহেন এমন একজন
কর্মকর্তাে ক দ ায়িত্ব প্রদানক্রমে শিশু বিষয়ক ডেস্ক গঠন করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর
কর্মরত থাক লে তাে ক অ গ্রাধিকার হবে।
ধারা-১৪ঃ শিশু বিষয়ক ডেস্ক কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কার্যাবলীর নি¤œরূপ-
ক। শিশু বিষয়ক মামলার জন্য পৃথক নথি ও রেজিস্টার সংরক্ষণ করা; খ। কোন শিশু থানায় আসলে বা আনয়ন করলে-
প্রবেশন কর্মকর্তাকে অবহিত করা;
পিতা-মাতাসহ ক্ষেত্রমত আইনানুগ অভিভাবককে অবহিত করা;
তাৎক্ষণিক মানসিক পরিসেবা দেওয়া;
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ প্রয়োজনে হাসপাতালে প্রেরণ;
শিশুর মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
গ। িশশু বয়স নির্ধারণ করার জন্য প্রয়োজনে জন্ম নিবন্ধন সনদ পর্যালোচনা করা;
ঘ। প্রবেশন কর্মকর্তার সাথে আলোচনাক্রমে জামিনের ব্যবস্থা গ্রহন করা;
ঙ। জামিনের ব্যবস্থা না থাকলে নিরাপত্তা মূলক হেফাজতের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
ধারা-১৫ঃ পুলিশ রিপোর্ট বা অনুসন্ধান প্রতিবেদন পৃথকভাবে প্র¯দত ও আমলে গ্রহন-
ধারা-১৫(১)ঃ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে যাই কিছুই থাকুক না কেন, কোন অপরাধ সংঘটনে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু জড়িত থাকলে, পুলিশ রিপোর্ট বা অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুর জন্য পৃথকভাবে
প্রদত করে দাখিল করতে হবে।
ধারা-১৫(২): ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে যাই কিছুই থাকুক না কেন, প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু কর্তৃক একত্রে সংঘটিত কোন অপরাধ আমলে গ্রহনের ক্ষেত্রে তাদের অপরাধ পৃথকভাবে আমলে গ্রহন করবেন।
কোন মন্তব্য নেই